একাডেমিক কার্যক্রম

সুযােগ্য পরিচালনা পরিষদের দিকনির্দেশনায়, উপদেষ্টা মন্ডলীদের নিবিড় তত্ত্ববধানে পাঠদানে রয়েছেন নিবেদিত প্রাণ একঝাক শিক্ষক-শিক্ষীকা।

ভর্তি তথ্য

সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য প্রয়ােজন সুশিক্ষা। শিক্ষা অর্জন একটি চলমান প্রক্রিয়া ও সময় সাপেক্ষ বিষয়।

সুবর্ণ জয়ন্তী

সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন-বর্তমান ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ সবাইকে আমন্ত্রণ জানাই।

গৌতম বুদ্ধ তাঁর শিষ্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন-“হে ভিক্ষসংঘ! তোমরা বহুজনের হিত ও সুখের জন্য দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়।” এই যে এঁতিহাসিক বাণী এটিকে ধারণ করে কালে কালে যুগে যুগে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা মানুষের কল্যাণে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। সারা বিশ্বে আজও সে ধারা প্রবাহমান ।

অনেক ত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হলো। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে যুদ্ধাহত ও শহীদ এবং বিধ্বস্ত পরিবারের ছেলেদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করলেন ধর্মরাজিক অনাথালয় ৷ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য এ অনাথালয় । অনাথালয়ে তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা হলো, অন্নবস্ত্রের ব্যবস্থা হলো । বাকী রইলো শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা পিতৃ-মাতৃহীন, দুঃস্থ সহায়হীন ছেলেদের ভবিষ্যত চিন্তা করে সেদিন মহাসংঘনায়ক বিশুদ্ধানন্দ মহাথের বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা শিষ্য সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরকে জানালেন। শিষ্যও গুরুর প্রস্তাবে অতীব আনন্দিত হন। কারণ এটা ছিল তাঁরও চিন্তা এবং একটি সময়োচিত উদ্যোগ ।

তাঁদের সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানালেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের নেতৃবৃন্দ। তারা বিপুলভাবে উৎসাহিত করলেন।

১৯৭২ সালে যে অভিযাত্রা শুরু হয় তা সিঁড়ির পর সিঁড়ি বেয়ে বর্তমানে একটি পূর্ণাঙ্গ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে। তারপরের ইতিহাস যতটুকু সম্ভব সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন লেখায় কিছুটা প্রতিফলিত হয়েছে। সেদিন অসাম্প্রদায়িক আদর্শে যে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আজও সে আদর্শ বিরাজমান। সদাশয় সরকারের প্রবিধিমালার বিশেষ ধারায় গঠিত ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়ে আসছে। এটি সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির একটি লালন ক্ষেত্র, সাম্য মৈত্রীর মিলন তীর্থ ।

নোটিশ সমূহ